unsuccess in niche site

আসুন জেনে নিই কীভাবে আমরা সহজে অসফল হতে পারবো?

নিস সাইট সফলতার গল্পতো অনেক পড়েছেন, হয়তো ভবিষ্যতে আরও পড়বেন। তাই আমি আর ওদিকে যাচ্ছি না আপাতত। আজকে বরং আমি এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলি যেটা সাধারণত কেউ বলেন না। কিংবা কেউ বললেও পড়তে চান না আপনারা। কারণ কে ব্যর্থতার গল্প পড়তে চায়? আমরা সবাই হিরো, তাই হিরো হওয়ার গল্পই আমাদের ভালো লাগে। আমরা মূলত পড়তে চাই নিস সাইট সফলতার গল্প

কিন্তু আজকের লেখায় আমি এমন কিছু ব্যাপার নিয়ে লিখবো, আপনি পড়লে অসফল হওয়ার ব্যাপারে ক্লিয়ার হতে পারবেন। আর না পড়লেও সমস্যা নেই। এই লেখা না পড়েও আপনি অসফল হতে পারবেন, নিশ্চিত থাকেন। তবে সেটার জন্য আপনাকে আরও বেশি পরিমানে সাফার করতে হবে; নিশ্চিত থাকেন সেই ব্যাপারেও।

আচ্ছা চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে; সফলতার গল্প রেখে; আমরা অসফলতার গল্প শুরু করি। ইয়েস, ডেফিনিটলি আমি আমাজন অ্যাফিলিয়ে মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তবে প্রসংগত আরও কিছু দিক নিয়েও কথা বলবো, ইনশাআল্লাহ।

Niche Site Myth

কেন আমরা সফল হতে চাই?

আমরা জানি, পৃথিবীর সবাই-ই সফল ব্যক্তি নন। কারণ সফল হওয়া অনেক কষ্টকর। কিন্তু আপনারা কি জানেন, অসফল হওয়া আরও কঠিন কাজ? খেয়াল করলে দেখবেন, এমন একটা সময় আসে, যখন কোনো মানুষ আর অসফল হতে পারেন না, তাকে সফল-ই হতে হয়। এটা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। যে কারণে পৃথিবীর অনেক সফল ব্যক্তি-ই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

তবে কি আমি বলতে চাচ্ছি- সফল হওয়া ঠিক নয়?

না, একদম তা নয়। আসলে মানুষ অসফল হয়েও সফল হতে পারেন, এরকম উদাহরণ কি কখনও দেখেছেন? একটু খুঁজলেই দেখবেন। কিন্তু আপাতত সেদিকে গল্প টেনে লম্বা করছি না। আমরা আমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বরং সীমাবদ্ধ রাখি আজকের লেখা।

হুম, যে কথা বলছিলাম, কেন আমরা সফল হতে চাই?

সফল হতে চাই অনেক কারণেই। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য… নানাবিধ কারণে। এরমধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো নিজের জন্য সফল হওয়ার আকাঙ্খা। একটা কথা বললে বেশি বলা হবে না, সেটা হচ্ছে- সফলতার প্রচণ্ড আকাঙ্খাই মানুষকে ব্যর্থ করে, অসফল করে, হতাশায় ফেলে, যন্ত্রণায় ফেলে। তাহলে কি আমাদের সফলতার আকাঙ্খা থাকবে না?

সফলতার আকাঙ্খা সহজাত। চিরাচরিতভাবে সেটা আপনার মাঝে আসবে, যদি আপনি মানুষ হয়ে থাকেন। এখন মূল ব্যাপার হচ্ছে- সফলতার সংজ্ঞা কিন্তু আপেক্ষিক। অর্থাৎ সফলতা একেকজনের কাছে একেকরকম হিসেবে ধরা দেয়। আমার কাছে সফলতা মানে যা বুঝায়, সেটা আপনার কাছে নাও হতে পারে। সুতরাং এরকম আনপ্রেডিক্টেবল ব্যাপার নিয়ে কথা বলার চেয়ে বরং অসফলতার ব্যাপার নিয়ে কথা বলা সহজ। তাই না?

অর্থ নাকি দক্ষতা?

সফল হলে অর্থ মিলে। আর অর্থের জন্য সফল হতে চাওয়ার ফলাফল হচ্ছে ব্যর্থতা। ব্যাপারটাতে দ্বন্ধ লাগছে? তাহলে আরেকবার পড়ুন। আশা করি বুঝতে পারবেন। খেয়াল করুন, যে যেজন্য সফল হতে চান সেটা পেলেই তিনি সফল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের আকাঙ্খায় মানুষ সফল হতে চান সেটা হচ্ছে অর্থ। অর্থাৎ আপনি যদি সফল হন, তাহলে অর্থ আপনার হবে। অর্থ মিলবে। কিন্তু আপনার আকাঙ্খা যদি থাকে, আপনি সফল হতে চান অর্থের জন্য, তাহলে আপনার সফলতার পরিমাণ কমে যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে সেটা হয়ে যাবে শূণ্য।

কেন?

কারণটা হলো, একটা মানুষ একটা কাজের মধ্যে শুধুমাত্র একটা জায়গায় ফোকাস করতে পারে। যখন তার ফোকাস পয়েন্ট একাধিক হয়ে যায় তখন সে কোনোটাতেই আসলে স্থির থাকতে পারে না। আমাদের গ্রামবাংলায় একটা প্রবাদ আছে: দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না। সম্ভবত আপনি প্রবাদটা জানেন।

সফলতায় নেমে আপনাকে “সফল” ব্যাপারটার মধ্যেই ফোকাস থাকতে হবে। আপনার ফোকাস যদি অন্যত্র সরে যায়, তাহলে আপনি অন্য জায়গাতেও ফোকাস হতে পারবেন না, সফল হওয়ার জন্য যা করতে হবে তাও পারবেন না।

হুম, আপনি সফল হলে আপনার অর্থ আসবেই। এটা যদি আপনি কনফার্ম হয়ে যেতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর অর্থ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কিন্তু আপনাকে ভালোভাবে কনফার্ম হতে হবে। মনে মনে বলবেন; কিন্তু কাজে কর্মে হবে না, সেটা কিন্তু কাজ করবে না। আপনাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি সফল হলে অর্থ আসবে। তাহলে আপনি ছুটবেন সফল হতে যা যা লাগবে সেটা বা সেগুলোর পেছনে। অর্থের পেছনে নয়।

সফল হতে তাহলে কি কি করতে হয়?

কিছু না। জাস্ট দক্ষতা বাড়াতে হয়। দক্ষতা অর্জন করুন, আপনার সফলতা আসবে। আর সফলতা যদি আসে তাহলে আপনার অর্থ আসবে। আবার এর উল্টেও করতে পারেন- অর্থ অর্জন করার জন্য সফলতার পেছনে দৌড়াতে পারেন, বিনিময়ে আপনার কাছে আসবে ব্যর্থতা, অসফলতা।

তাহলে আপনি শিখে গেলেন কিভাবে আপনি অসফল হতে পারবেন।

ওয়েট! আমার কাছে আরও বেশ কিছু নিনজা টেকনিক আছে ব্যর্থ বা অসফল হওয়ার জন্য।

নিস সাইটে অসফল হওয়ার নিনজা টেকনিক

এবার যে টেকনিকগুলো বলবো, ওগুলো যদি ফলো করতে পারেন, তাহলে আপনার অসফলতা আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। আপনি নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থ হতে পারবেন। সুতরাং প্যান্ট টাইট করে নিয়ে শক্ত হয়ে বসুন।

প্রথম নিনজা টেকনিক

নিস সাইটে ব্যর্থ হওয়ার প্রথম ছবক হচ্ছে- হুট করে শুরু করা। এমনভাবে শুরু করবেন যেন আপনি নিজেও না জানতে পারেন। মন চাইলো শুরু করলেন। কোনো প্ল্যানিং করলেন না, পড়াশোনা করলেন না, এসইও কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কিছু জানলেন না, দ্রিম করে শুরু করে দিলেন। আপনি নিশ্চিত থাকেন, আপনার ব্যর্থতা কেউ ঠেকাতে পারবেন না।

নিস সাইট প্ল্যানিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা-ই যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনাকে সফল করবে কোন এক্সপার্ট? এক্সপার্ট নিয়ে মিটিং বসালেও আপনাকে কেউ ব্যর্থতা থেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন না।

কথা ক্লিয়ার? নাকি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? 😉

দ্বিতীয় নিনজা টেকনিক

দ্বিতীয় যে নিনজা টেকনিক ফলো করে আপনি নিস সাইট জগতে ব্যর্থ হবেন, একের পর এক নিস সাইট প্রজেক্টে যেভাবে ব্যর্থ হতে পারবেন, সেটা হচ্ছে- সোশ্যাল নেটওয়ার্কে (যেমন ফেসবুক) একটিভ থাকবেন। সারাদিন ভরে বিভিন্ন জনের সফলতার গল্প পড়বেন, গ্রুপে, ভিডিওতে, সাইটে বিভিন্নজনের আর্নিং স্ক্রিনশট দেখবেন। আর সাথে সাথে নতুন নতুন নিস সাইট বানাবেন। কে ঠেকাবে আপনার ব্যর্থতা?

জ্বি, স্ক্রিনশট দেখে যদি একজন মোটিভেটেড হন, তাহলে ডিপ্রেশনে পড়েন অন্তত ৯৯ জন। এজন্য আমি স্ক্রিনশট শেয়ারের বিরোধী। একজনকে সফল করতে গিয়ে আরও নিরান্নব্বই জনকে আপনি ব্যর্থতার পরাকাষ্ঠে আটকে দিচ্ছেন। এটা খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে নতুনদের জন্য এবং যারা প্রচণ্ড পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কিন্তু এখনও তেমন ভালো কিছু করতে পারছেন না, তাদের জন্য স্ক্রিনশট অভিশাপ স্বরূপ।

কারণ, আমরা শুধু আর্নিংটাই দেখি, কিন্তু এর পেছনে কত পরিশ্রম, কত সাধনা, কত কষ্ট, কত বেদনা, কত নিষ্ঠুরতা, কত কত রাত জাগা আছে; সেটা আমাদের নজরেই পড়ে না।

সুতরাং যদি অসফল হতে চান তাহলে বেশি বেশি আর্নিং স্ক্রিনশট দেখুন, তারপর আপনিও একদিন এরকম স্ক্রিনশট দেবেন ভাবতে ভাবতে আরও ২/৩টা নিস সাইট বানিয়ে ফেলুন।

কিন্তু সফল হওয়ার জন্য, সেসব স্ক্রিনশট দেখা থেকে বিরত থাকার জন্য, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক (বিশেষ করে ফেসবুক) থেকে দূরে যাবেন না। গেলেই ধরা খাবেন। মানে সফল হয়ে যাবেন। সুতরাং স্টে কানেক্টেড উইদ ফেসবুক এন্ড স্টে ফুলিশ। বোনাস হিসেবে ব্যর্থতা আছে পুরস্কার হিসেবে। হিহিহি! 😀 😛

তৃতীয় নিনজা টেকনিক

ওকে, এবার যাচ্ছি আমি তৃতীয় নিনজা টেকনিকে। এটা হচ্ছে আমাদের দেশের ভাই-ব্রাদারদের একটা কমন টেকনিক। এই নিনজা টেকনিক ব্যবহার করে আপনি খুব এবং খুবই সহজে অসফল হতে পারবেন।

যেহেতু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের চেয়ে অন্যকে কপি করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাই, সাধারণত, অন্যের একটা নিস সাইট দেখে, ওটাকেই কপি করা শুরু করেন। এটা করতে গিয়ে যেটা হয়, একজন একটা নিস সাইট বানালেন, কেন সেই নিস সাইটে জেনেসিস থিম কিংবা থ্রাইভ থিম ব্যবহার করলেন, কিংবা অন্য কোনো থিম ব্যবহার করলেন (যেমন জেনারেট প্রেস), সেটা না জেনেই, না বুঝেই- অমুক ভাই করেছেন তাই আমি করেছি; এমন একটা ভাবনা থেকে তিনিও ঐ থিম ইউজ করেন।

কিন্তু যেহেতু, নিজের নিসের সাথে, নিজের কাজের সাথে, নিজের নিজস্ব ডিজাইন করে কাজ করলে তিনি সফল হয়ে যেতে পারেন, সেই জন্য বোধহয় নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগাতে চান না তারা।

ফলে অসফল হওয়ার জন্যই মূলত তারা গ্রুপ বায় করে থিম কেনেন, প্লাগিন কেনেন, নইলে নাল থিম এবং নাল প্লাগিন ইউজ করেন। এমনকি কেউ কেউ ক্র্যাক করা থিম এবং প্লাগিন ইউজ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

কেনরে ভাই? ব্যর্থ হওয়ার এতো শখ কেন আপনার?

এই কাজ না করে ফ্রি থিম, ফ্রি প্লাগিন নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা কী? যদি আপনার বাজেটের স্বল্পতা থাকে তাহলে পেইড থিম এবং পেইড প্লাগিন ফ্রিতে ইউজ করার চেয়ে ফ্রি থিম, ফ্রি প্লাগিন ইউজ করা হাজার গুণ ভালো।

বিশ্বাস হয় না আমার কথা? অনেক প্রমাণ আছে আমার কাছে। অনেক কেস দেখেছি আমি। আপনিও দেখতে পারবেন, আপনার নিজেরটা। 😉

চতুর্থ নিনজা টেকনিক

অসফল তথা ব্যর্থ হওয়ার চতুর্থ নিনজা টেকনিক এবার বয়ান করি। ক্যাশিং প্লাগিন ইউজ করা সংক্রান্ত ব্যাপার এটা। আমাদের দেশের বেশিরভাগ ভাই-ব্রাদার মনে করেন ক্যাশিং প্লাগিনের একমাত্র কাজ হচ্ছে সাইটের স্পীড বাড়ানো। এর বেশি খুব কম মার্কেটারই জানেন। কিন্তু যা-ই হোক না কেন, আমি শুধু একটা কথাই বলবো, ক্যাশিং প্লাগিন যদি ভালোভাবে ব্যবহার/সেটিংস করতে না পারেন, তাহলে সাইটে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। হাজার হাজার সাইট র‌্যাংক হচ্ছে ক্যাশিং প্লাগিন ছাড়া এবং সেগুলো থেকে সেল আসছে আর ফ্লিপও হচ্ছে।

সাইটের স্পীড শুধুমাত্র হোস্টিং এবং ক্যাশিং প্লাগিনের উপর নির্ভর করে না। ম্যানুয়ালি চেক খুব সহজে সাইটের স্পীড বাড়ানো যায়।

কীভাবে?

গুগল আর ইউটিউবের টিউটোরিয়াল দেখে দেখে ৭/৮ ঘণ্টা কাজ করলেই সেটা করতে পারবেন। আপনাকে খুব বড় দিগগজ ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার প্রয়োজন নেই। সুতরাং শুধু শুধু ডাব্লিউপি রকেট বা এরকম প্লাগিন ইউজ করে নিজের সাইটের সর্বনাশ ঢেকে আনার কারণ দেখি না।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি- ডাব্লিউপি রকেট প্লাগিন সাইটে অনেক সমস্যা তৈরি করে। শুরুতে ভালো পার্ফমেন্স দেখালেও সেটা আস্তে আস্তে কমে যায়। জাঙ্ক হয়ে যাবে সাইট যদি প্রোপার সেটিংস না করেন।

তবে আপনি যেহেতু অসফল হওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর, তাহলে বলবো, নিশ্চিন্তে এসব প্লাগিন ইউজ করে যান। তারপর ঠেলা সামলাবার জন্য প্রস্তুত থাকতে ভুলবেন না! হিহিহি! 😛

পঞ্চম নিনজা টেকনিক

হোস্টিং নিয়ে অনেক মার্কেটার একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেন। সেটা হচ্ছে- প্রথমেই ‘লেমসেম’ একটা হোস্টিং নিয়ে কাজ শুরু করবেন। তারপর যখন ঐ নিস সাইট ভালো আয় করা শুরু করবে (যেমন: মাসে পাঁচ হাজার ডলার প্রতি মাসে 😉 ), তখন ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করবেন।

এটা হচ্ছে একটা আত্মঘাতি ব্যাপার। নতুনদের জন্য হোস্টিং নির্বাচন একটু ক্রিটিক্যাল। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে চিন্তা করলে অনেক ব্যাপারই বুঝতে পারবেন।

আরে ভাই, আপনার বাড়ির বেইজ-ই যদি ভালো না হয়, আপনি দশতলা বিল্ডিং বানাবেন কেমন করে? বেইজ যদি আপনার শক্ত-মজবুত হয়, তাহলে উপরের তলাগুলো যতো ইচ্ছে সুন্দর করে বানাতে পারবেন।

এবার বুঝলে বুঝেন, না বুঝলে অসফল হওয়ার স্বাদ নিন।

তবে মনে রাখবেন- খেলা কিন্তু হবেই!

ষষ্ঠ নিনজা টেকনিক?

না, আপাতত আর লিখছি না। তবে আপনার যদি অসফল হওয়ার আকাঙ্খা আরও বেশি থাকে, তাহলে আমি বলবো, অনেক রাস্তা আছে। অসংখ্য। কেউ আপনাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সুতরাং সেগুলো নিয়ে আমি না লিখলেও আপনি জেনে যাবেন।

কীভাবে?

নিজরে অভিজ্ঞতা থেকে, আবার কীভাবে?

উপসংহার

আর্টিক্যাল কোয়ালিটি, সাইটের ডিজাইন, নিস সাইট প্ল্যানিং এ টু জেড, বেসিক লিংক বিল্ডিং এ টু জেড, আমাজন মিথ, গেস্টপোস্ট… ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়েই লিখেছি আগে।

এই বিষয়টা অনেকদিন যাবৎ মাথায় ঘুরছিলো, কিন্তু সময়ের অভাবে হয়ে উঠছিলো না। অনেকগুলো পয়েন্ট ভুলেও গেছি। ভবিষ্যতে মনে পড়লে লেখাটা আপডেট করবো, ইনশাআল্লাহ।

ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই, আপনারা সফলতা, অসফলতা, ব্যর্থতা, অর্থবিত্ত, প্রতিপত্তি… কোনটার পেছনেই না ঘুরেন। নিজের দক্ষতা বাড়ান যতোটা পারেন। ইনশাআল্লাহ অর্থ, সফলতা, ইনকাম, প্রতিপত্তি সবই আপনার দরজায় এসে ঠক-ঠক করে কড়া নাড়বে।

ভালো থাকুন সবাই।
হ্যাপি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং!

9 thoughts on “আসুন জেনে নিই কীভাবে আমরা সহজে অসফল হতে পারবো?”

  1. আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া
    অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া। সব ঠিক আছে কিন্তু আপনি তো টেকনিকটা শিখাইদিলেন না কিভাবে ডাব্লিউপি রকেট প্লাগিন সেটিং করতে হবে। এই প্লাগিন টা তো পেইড। ফ্রি না। তাই আপনি এর সঠিক সেটিং টা আমাদের কাছে তুলে ধরুন।

    ধন্যবাদ

    Reply
  2. খুব ভালো লাগলো পড়ে! আমার মত নিউবিদের জন্য পারফেক্ট। সবাইকে রিকমেন্ড করবো পড়ার জন্য।

    Reply
  3. সাধারণত ব্লগে তেমন কমেন্ট করা হয়ে ওঠে না।কিন্তু আপনার এই পোস্টে কমেন্ট না করে পারলাম না। খুবই সুন্দর লেগেছে ভাই।

    Reply
  4. আমি একজন নিউবি. আমার মনে হয় আমার মতো। নিউবি দের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ন একটা টপিক. পড়ে আনেক কিছু শিখেছি এবং বুজেছি. ধন্যবাদ ভাই দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য

    Reply
  5. আমার মনে হয় ইন্টারনেটে এই প্রথম বাংলায় কোন অসফল হওয়ার গল্প দেখলাম ও পড়লাম। তবে এটা পড়ে অসফল
    না হয়ে সফল হওয়ার অনেকটা দিক নের্দেশাও পেলাম।

    ধন্যবাদ বিল্লাল ভাই…. সব কিছুর পাশাপাশি স্ক্রিনশট বিষয়ে আপনার মন্তব্যটি ১০০% সঠিক।

    Reply

Leave a Comment